LOVE LATTER
তোমাকে আজ নতুন নাম দিলাম। আসলে এ নামকে ঠিক নতুন বলা যায়না, বহুদিন যাবৎই এই নামটা মনের মধ্যে ঘুরঘুর করছিলো। আজ শুধু কাগজে কলমে লিখলাম। তুমি আমার অতি কাছে থেকেও চিরজীবন বহু দূরেরই রয়ে গেলে আর তাই তোমায় এ নামে ডাকাটাই সবচেয়ে সঠিক বলে মনে হচ্ছে।
তোমার মত গুছিয়ে আমি লিখতে পারিনা আর তাই লেখা অনেক এলোমেলো হবে সেও জানি তবুও তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো বলেই এই চেষ্টা। তোমাকে অনেক বাজে কথা আমি বলেছি। কেনো বলেছি তা এ মুহুর্তে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যাখা করা সম্ভব না আমার পক্ষে। আসলে সেসব সময়ে বলার পরিবেশ তৈরী হয়েছিলো একেকসময় একেক রকম করে। তোমাকে যত দুঃখ দেবার মত কথা আমি বলেছি সেসব কিছুর জন্য আবারও আমি ক্ষমা চাইছি।
তোমার দূর্ব্যাবহারগুলোতে আমি দুঃখ পেলেও সেসব আমার মনে চিরস্থায়ী নয়। তুমি সেই প্রথম দিনটি হতে যেমন ভালোলাগার ও ভালোবাসার ছিলে আমার হৃদয়ে ঠিক তেমনটিই থেকে যাবে। হয়তো আমার এ কথাটা তোমার আজ একেবারেই বিশ্বাস হয়না।
তুমি আমাকে শিখিয়েছিলে স্বপ্ন দেখতে। তুমি শিখিয়েছিলে ভালোবাসা কারে কয়।একটা কথা আজ বলতেই হয়, আমার জীবন সম্পূর্ণ করেছো তুমি। আমি তোমাকে দুঃখ দিতে না চাইলেও , দিয়েছি। এর জন্য আমার অনুতপ্ততার সীমা নেই। আমি খুব সাধারণ তাই হয়তো পারিনি উদার হতে।
তোমার মত এত মেধাবী একজন মানুষ পৃথিবীতে খুব কম জন্মায়। তোমার মেধা আমার অহংকার কিন্তু তোমার এই মেধার পিছের কিছু কিছু কারণ, কিছু আচরণ আমি সইতে পারিনি। সইতে পারিনি ঠিক তেমনি ভাবে যেমনিভাবে তোমায় যারা ঈর্ষা করে। তোমার সাফল্য তোমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষা হয় আমার । আসলে তোমায় আমি এত উঁচু আসলে বসিয়েছি যে তুমি আমার কাছে অসাধারণ একজন দেবীর পর্যায়ে চলে গেছো। এসব করেছি কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি কম বুঝি। খুব কম বুদ্ধি নিয়েই মাঝে মাঝে তোমার সাথে যাচ্ছেতাই ব্যাবহার করে ফেলেছি। মাপ করে দিও। তোমার অগনিত ভক্ত ভালোবাসার মাঝে খুঁজে নেবে নিশ্চয় তোমায়।
অনেক অনেকবার ভেবেছি। তোমার থেকে দূরে চলে যাবো। বহু দূরে। কিন্তু পারিনি। তোমায় ঘিরে থাকা অগনিত মানুষের একজন হয়ে থাকতে চাইনি আমি। আমি চেয়েছিলাম তোমার পাশে আমার জন্য এক টুকরো বিশেষ স্থান। তোমার সাথে এত দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি, এত কথপোকথন আমার এই জীবনে আর কারো সাথে হয়নি আর হবেও কিনা সন্দেহ আছে।
এখন অবশ্য তেমন একসাথে থাকা হয়না। এত দূর্যোগ এত বাঁধা বিপত্তির পথ পাড়ি দিয়েছি তোমার সাথে। তোমার সাফল্য কিন্তু আমার বড় আনন্দের। তবুও সেসব সহ্য হয়না আমার।
রোজ ভোরে ঘুম ভেঙ্গে উঠে ভেবেছি আবার সব ঠিক হয়ে যাবে।ঠিক আগের মত । মাঝের সব ক্লেদাক্ততাকে ভুলে গিয়ে আমরা শুরু করতে পারবো আবার। কিন্তু যা তাই থেকে গেছে। মনে হয়েছে নিজেকে খুব বেশি ছোট করে ফেলেছি তোমার কাছে। তোমার সাথে একটা দূরত্ব থাকা উচিৎ আমার । ভালোবাসি বলেই তোমার ব্যাক্তিগত সকল কাজেই আমার হস্তক্ষেপ থাকবে সেটা ঠিক নয়। কিন্তু তোমার ঔদ্ধত আচরণ আমাকে কষ্ট দিয়েছে । আমাকে ছোট করে দিয়েছে বার বার । ভালোবেসে মানুষ কত ত্যাগ স্বীকার করে, আমি পারিনি তোমাকে পাবার লোভ সামলাতে।
তোমাকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিলো আমার। সমুদ্রের বেলাভূমিতে পাশাপাশি হাত ধরে বসে সূর্যাস্ত দেখবো আমরা। বাতাসে উড়বে তোমার চুল । আমার মুখে ঝাপটা লাগবে। অনন্তকাল থেমে যাবে সেসময়। এমন দিন কখনও আসবেনা , এমন স্বপ্ন কখনও পূরণ হবেনা। তবুও তোমার জন্য বুকের মাঝে অদ্ভুতভাবে জমে আছে এক লুকানো কষ্ট আমার। তোমাকে আমার বড় দুঃখী মনে হয়। তোমার কখনও জানা হবেনা তোমার জন্য আমার কতখানি কষ্ট হচ্ছে। তোমার উপর প্রচন্ড অভিমান হচ্ছে আমার । তবুও তোমাকে ভালোবাসি।
আমার জীবনে সবচাইতে আনন্দের কারণ তুমি, সবচাইতে কষ্টের কারণও তুমি। তোমাকে কষ্ট দিতে মন চায়না, তবুও অনেক কষ্ট দিয়েছি আমি। তোমাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা। তুমি একদিন অনেক বড় হবে, অনেক মানুষের মধ্যমনি। হয়তো আমাকে ভুলেই যাবে তুমি। কিন্তু চিরজীবন তুমি থাকবে আমার হৃদয়ের মনিকোঠায়।
আজ আমার মনটা খুব খারাপ। তোমাকে ভালোবাসার কষ্টে, তোমাকে না পাবার কষ্টে কোনো কোনো দিন আমার এমনি কাটে।তোমাকে খুব বেশি ভালোবাসি বলেই এমনটা হয় আমার।কিন্তু আমার এমন অস্থিরতার সময়ে আমার ব্যাবহারের প্রকাশে তুমি বেশি ভুল বোঝো আমায়। আসলে ভালোবাসার পাশাপাশি তোমার প্রতি আমার লোভ , ঈর্ষা এসব এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে সে আমি জানি।বুঝতে পারিও। তুমি খুব স্বার্থপর আর ভয়াবহ রকমের নিষ্ঠুর। তবুও তুমি এমন জেনেও আমি তোমাকেই ভালোবাসি।
তুমি অনেক অপ্রিয় সত্য বলেছো আমাকে। অনেক স্বার্থপর আর নিষ্ঠুর আচরণ করেছো যা আজীবন আমার সঙ্গী হয়ে থাকবে। মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি ঠিকই বলো আমি একজন মানষিক রোগী হয়ে পড়ছি দিনে দিনে।
আজ সকাল থেকেই মন খারাপ আমার। তোমাকে খুব দেখতে মন চাইছে। কিন্তু দেখা হতেই আবার খারাপ কিছু করে ফেলবো জানি। আসলে তোমার প্রতি আমার আবেগের বিপর্যয় ঘটেছে। হয়তো অভিমান করেই আমি আমার সব আবেগকে নিয়ন্ত্রন করেছি। তুমি খুব সরলভাবে আমাকে বড় বড় অপ্রিয় সত্য কথা শুনিয়েছো। তোমার মত সত্যবাদী প্রেমিকারা বড় নিষ্ঠুর।অনেক দিন ধরেই আসলে আমি তোমার কাঁধে এক বিরক্তির বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছি তা আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে তোমার কিছু নির্দোষ কাজকর্মই প্রমান করে দিয়েছে। আমাকে সব সময় বোঝা ভাবতে হবেনা তোমার, তুমি তোমার মত চলতে পারো। আমার প্রতি তোমার যে কোনো রকম দায় দায়িত্ব নেই সে অনেক আগেই বুঝেছি আর আজও সেটাই মনে করি আমি।
আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা আমি তোমাকে বোঝাতে পারিনি তুমি আমার কাছে কি এবং কতখানি।ভালোবাসা প্রকাশে আমি সবসময় প্রেম আর আবেগে থাকতে পারিনা সেটাই আমার দোষ। আমার অক্ষমতা। সবাই এক রকম ভাবে জন্মায় না। আচ্ছা প্রেমিক হিসাবে আমি কি একেবারেই অযোগ্য?
তোমাকে আমার মিথ্যুক আর প্রতারক মনে হয়। তুমি দিনের পর দিন আমার সাথে মিথ্যাচার করেছো, প্রতারনা করেছো। এসব আমাকে ধীরে ধীরে শক্ত করে তুলেছে। নতুবা আমি তোমার প্রতি ছিলাম বড় দূর্বল। তুমি অনেকবার চেয়েছো তোমার জীবন থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে। পারোনি। কারণ আমি বড় ভালোবাসায় তোমাকে ধরে রেখেছিলাম বলেই।
তোমার উচ্ছাস। তোমার আনন্দ তোমাকে ঘিরে এত মানুষের আদিখ্যেতা দেখে কষ্ট হয় আমার। আমি খুব সাধারণ। ভালোবাসি তোমায় আমি। ভালোবাসা যে এমন মৃত্যুফাঁদ, তা আগে কখনও বুঝিনি।
তোমার ছেলেবেলা অনেক কষ্টে কেটেছে। তোমার মুখেই সেসব শুনে কষ্ট পেয়েছি আমি। তোমার ছেলেবেলা আমি দেখতে পাই চোখ বুজলেই একটি দুঃখী মেয়ে। ভীষন মায়া হয় আমার ।
তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে। প্রতিদিন মনে মনে বলি তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে। খুব ভালো লাগে। আজকাল স্বপ্ন দেখি মরে যাচ্ছি। কষ্ট হয়না মোটেও। বরং মরে গেলেই সব প্রতারনা থেকে মুক্তি হ্ত আমার।
ভালোবাসোনি আবার দূরেও যাওনি। কেনো যাওনি সেটা জানি স্বার্থের জালে আটকে রেখেছিলে আমাকে।খানিকটা আকর্ষনও আছে তবে ভালোবাসোনি আমায় তুমি। যখন এটা বুঝলাম তখন আর ফিরে আসার পথ ছিলোনা আমার কারণ ততদিনে তোমাকে প্রচন্ডরকম ভালোবেসে ফেলেছি আমি। পেতে চেয়েছি তোমাকে। বুঝিনি এই ভুলের মাশুল কিভাবে দিতে হবে। তোমার এই স্বার্থপরতা , নিষ্ঠুরতা কিভাবে কষ্ট দেবে আমায়।
তুমি আমায় অনেক অবহেলা করেছো আর শুনিয়েছো এমন সব কঠিন কঠিন কথা যা কোনো প্রেমিকার মুখে মানায় না , নাটক সিনেমার কোনো খলনায়িকার মুখেই শোনা যায় সেসব কথা। একটা সময় আবেগ আর প্রেম নিয়ে তোমার হতে চেয়েছি। কিন্তু তোমার কাছে এসবের কোনো মূল্য ছিলোনা কখনও বরং সেসব কথা আর আবেগ নিয়ে তুমি অনেক ব্যাঙ্গ আর শ্লেষ করেছো। আমার প্রতি বিশস্ত থাকোনি তুমি, আমার বিপদেও কখনও পাশে ছিলেনা আমার। এসব নিয়েই ধীরে ধীরে অবিশ্বাস জন্মেছে আমার। আমি তোমার নির্দয় ব্যাবহার ভুলতে পারিনা তবে ভুলতে চাই।
তোমার সাথে শুধুই দূর্ব্যাবহার করে ফেলেছি। আমি অনুতপ্ত কিন্তু কোনোদিন এমন হবেনা আর এমন শপথও করতে পারিনা।যতদিন বেঁচে থাকবো তোমার সাথে এমনি করবো হয়তো প্রায়ই। তোমাকে খুব ভালোবাসি কিন্তু প্রচন্ড এক অভিমান আছে আমার।
তুমি অনেক কষ্ট পেেয়ছো এ জীবনে। তোমার কষ্ট আমি ভালোবাসায় ভুলিয়ে দিতে চাই। ভালোবাসি কিন্তু শান্তি দিতে পারছিনা এটাও আমার কাছে কম কষ্টের নয়। আমি কিছুতেই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাচ্ছিনা। আমি কেনো আমার জীবনে এ দূর্ভোগ ডেকে আনলাম?
তোমায় দেখলে অনেক কষ্ট লাগে মায়া হয়। এই তুমি আমাকে এত কষ্ট দিয়েছো ভাবলে খারাপ লাগে। আমি জানি আমার কোন আচরণ তোমার অপছন্দের, কোন কথায় তুমি কষ্ট পাও সব জেনেও আমার তোমার মত হয়ে ওঠা হয়না।আসলে আমি চাইনাও তোমার মত হয়ে উঠতে। তোমাকে আমি জানি দুঃখী,রোমান্টিক নরম মনের মানুষ হিসাবে আর তাই কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা তোমার কাছ থেকে পাওয়া কষ্টগুলোকে।আমার অনেক কিছুই তোমার অপছন্দের আমার চাল চলন কথা বার্তা। কিছুই পছন্দ করোনা তুমি। আমি ভেবেই পাইনা এত অপছন্দের মানুষটার সাথে কিভাবে তোমার সম্পর্ক হলো? এটা একটা ভাববার বিষয়।
তুমি প্রায়ই আমার চরিত্রের ত্রুটিগুলি ধরিয়ে দাও, আমার রুচির তালিম দাও। আমি মনে হয় এতটা অরুচিকর বা অসচেতন নই যে তোমার থেকে আমার তালিম নিতে হবে। আমার যথেষ্ঠ বয়স হয়েছে এবং এ সম্পর্কে আমি যথেষ্ঠ সচেতন। আসলে তোমার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য আমার চরিত্রের বিভিন্ন ত্রুটি বিচার বিশ্লেষন করে তা ধরিয়ে দিয়ে আনন্দ পাওয়া। আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা তোমার সাথে জড়িয়ে পড়া।
তোমার ওপর সেই শুরু থেকে আমার একটা মায়া জন্মে গেছে। তোমায় দেখে মনে হয়েছে আমার তোমার অহংকার এ উদ্ধত আচরণ সবই ছদ্নবেশ। এসবের আড়ালে তুমি এক অদ্ভুত আশ্চর্য্য মায়াবী আর দুঃখী মানুষ। আমি তোমার জীবনে এক বাড়তি উৎপাত। আমার জন্য আর কোনো সময় নষ্ট করতে হবেনা তোমার।আমি মিথ্যা আর ভন্ডামীকে ঘৃনা করি।প্রত্যকের জীবন তার কাছে। সুখে থাকার বা সুখী হবার অধিকার তোমার আছে। তুমি আমার জন্য অনেক করেছো।আমার কাছে তোমার কোনো ঋণ নেই। সারাটা জীবন আমার সাথে জড়িয়ে থাকতে হবেনা।
তোমায় পেয়ে আমি বুঝেছিলাম এ পৃথিবীতে সৃ্ষ্টিকর্তার সবচেয়ে সুন্দর দান ভালোবাসা। এত যে ভালোবাসি তোমার তবুও এক অপার শূন্যতা। আমি ভাবি আমার থেকে তুমি কোনো দুঃখ পেতে পারোনা। তবুও দুঃখ দেই।তোমার জন্য আমার অনেক মায়া। তোমায় আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি। অভিযোগ করেছি। এসব কথা তুমি মনে রাখবেনা। মনে রাখবেনা আমার দূর্ব্যাবহারের কথা। কারন আমার দূর্ব্যাবহারের চেয়ে লক্ষ্য গুন ভালোবাসি তোমায়। আমার অন্তর জানে তুমি কে, তুমি কেমন।তোমার মাঝে মুগ্ধ করবার মত এত গুণ আছে বলেই আমি তোমায় এত ভালোবাসি। যে তোমাকে জানবে সে তোমাতে মুগ্ধ হবেই। না ভালোবেসে পারবেনা।আমার ব্যাকুলতা কখনও তুমি প্রাণ ভরে অনুভব করোনা।
কতদিন কথা হয়না তোমার সাথে মুখোমুখি বসে। তুমি আমার সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন রাখো। আমি জানি হয়তো ব্যাস্ততায় অথবা আমাকে দূরে রাখতে। সেসময়গুলোতে আমি খুব ভয়ে থাকি। বিরক্ত করতে চাইনা আমি তোমাকে। তুমি সরাসরি সব যোগাযোগ বন্ধ করে দাও।এখন আর আমি আগের মত মরতে চাইনা। কিন্তু একদিন চেয়েছিলাম। তুমি আমার সাথে দীর্ঘদিন যোগাযোগ রাখোনি। আমি বেঁচে থাকবো অথচ তোমায় দেখবোনা এ কষ্ট আমি সইতে পারিনা।তাই মরে যেতে ইচ্ছা করে । একথা তোমাকে জানিয়েছিলামও কিন্তু পরে বুঝলাম সেকথা তুমি মন দিয়ে শোনোনি।একজন মানুষ তোমার জন্য মরে যেতে চায় সেই কথাটাও তোমার কাছে এতটা গুরুত্বহীন আমি ভাবতেই পারিনা।
এখন আমি আর আগের মত নেই। সহ্য করার ক্ষমতা হয়েছে আমার। যে ভালোবাসে বেশি কিন্তু প্রকাশ করে কম সেই প্রকৃত জ্ঞানী। কদিন ধরে জ্ঞানী হবার চেষ্টা করছি।
মানুষের চাহিদার অন্ত নেই তাই বলে সব চাহিদা পূরণ হবে এমন কথাও নেই।আমার সব চাহিদা পূরণ না হলে ক্ষতি নেই।শুধু একটিই চাওয়া। তোমাকে পাবার। আমি সারাটি জীবন কেবল তোমাকেই চাইবো। তোমায় না পেলে এ জীবন অর্থহীন।
তুমি খুব স্বার্থপর আর নিষ্ঠুর।তবুও তোমার সঙ্গ আমার জীবনের অন্যতম সম্পদ।যদিও অনেক অপমান আর নিষ্ঠুরতা জড়িয়ে আছে সেসব মুহুর্তগুলির সাথে।আমি শাররিক ও মানষিক দিক থেকে এতটাই ভেঙ্গে পড়েছি যে নিজের দিকে তাকাতে পারিনা। মনে হয় কঠিন কোনো অসুখ হয়েছে আমার । কোনোদিনই সুস্থ হবোনা। মৃত্যুই আমার একমাত্র পথ। তোমার বিরুদ্ধে আমার অজস্র অভিযোগ তবুও তোমাকে ভালোবাসি।আমার নিজের ওপর ভারী ঘেন্না হয় আমি একজন নির্বোধ ও বেহায়া বলে।
কত তুচ্ছ কত ছোট্ট ইচ্ছে রয়েছে আমার তোমার হাত ধরে হেঁটে যাবো সাগরের তীর ঘেষে, ছাদে বসে তারা দেখবো। অথচ কোনোদিন সেসব পূরণ হবেনা আমার।
খুব ইচ্ছে করে তোমার হাত ধরে মায়ের কাছে গিয়ে বলি, আপনার গর্ভের শ্রেষ্ঠ সন্তান, এই দুঃখী আর অভিমানিনী মেয়েটিকে কেনো এত কম ভালোবেসেছেন? মাকে নিয়ে তোমার বুকের মাঝে একটি কষ্ট লুকানো আছে বুঝতে পাই। তাই আমার জানতে ইচ্ছে করে মা কেনো তোমায় এত অনাদরে রেখেছিলেন আর এখনও বা কেনো এত দূরে রেখেছেন? তোমার মত সন্তানকে কোনো মা ভালো না বেসে পারেন? আমার মনে হয়না যে তিনি বাসেন না তবুও কোথায় যেন একটা দূরত্ব হয়ে গেছে।
আমার মনের পর্দায় ভেসে ওঠে একটা মুখ । দুঃখী এক কিশোরীর মুখ। যদিও সেই অভিজ্ঞতাটিই তার জীবনের অন্যতম সম্পদ হয়ে উঠেছে। তবুও ভারী কষ্ট হয়। তাই মায়ের কাছে গিয়ে জানতে ইচ্ছে করে কেনো এমনটি হয়েছিলো?
তুমি আমায় অনেক কষ্ট দিয়েছো তবুও কখনও মনে হয়না ইচ্ছে করে তোমাকে কষ্ট দেই। তোমার কথা মনে হলে আমি ভুলে যাই তুমি আমায় কষ্ট দিয়েছিলে।আমার কেবলি মনে হয় মা যেমন সকল কষ্ট ভুলে যায়, ভুলিয়ে দেয়, তুমিও ভুলে যাবে, ভুলিয়ে দেেবে আমার সকল কষ্ট।
তোমাকে নিয়ে অদ্ভুত এক ঘোরে কেটে যায় আমার দিন। মনে হয় অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে আমার তোমাকে পাবো বলেই। গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমার বুকটা হু হু করে ওঠে। হাত বাড়িয়ে দেই তোমাকে পাবো বলে। একটা দিনের জন্যও যদি তোমার পাশে থাকার সৌভাগ্য হত তবে সাজিয়ে দিতাম তোমার প্রতি মুহুর্তগুলিকে তোমার মনের মত করে।
আমার কাছে তুমি মিথ্যুক , স্বার্থপর, ভন্ড, অকৃতজ্ঞ, সুবিধাবাদী একজন মানুষ তুমি। যে অবিরাম বানিয়ে বানিয়ে লেখে আর তার চারপাশে মানুষের সাথে অবিরাম মিথ্যাচার করে। আমার জীবনের সবচেয়ে দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা তোমার সাথে পরিচিত হওয়া। আর এ দূর্ভাগ্য ডেকে এনেছিলাম আমি নিজেই। আমার প্রতি যদি তোমার বিন্দুমাত্র ভালোবাসা থাকতো তবে তুমি আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করতে এই ভেবে যে হাজারও সুখে দুঃখে আমি জড়িয়ে আছি আজও তোমারই সাথে।
স্বার্থপর আর সুবিধাবাদী মানুষেরা বোঝা কিভাবে জীবন গুছিয়ে নিতে হয়। তাদের কোনো অপরাধবোধও থাকেনা। আমাকে তুমি ব্লাকমেইলও করতে পারো। সে গুণাবলীও তোমার মাঝে আছে। আশাকরি এটিও একদিন দেখতে হবে।
আমি জীবনের শেষ মূহুর্তটি পর্যন্ত তোমাকে ঘৃনা করতে চাই। গত কয়েক বছরে তুমি আমাকে অনেক বেশি অপমান করেছো যা আমার প্রাপ্য ছিলোনা। আমার ভালোবাসা তোমার পাওনা হতে পারেনা কিছুতেই। আমি যে ভুল করেছি তার জন্য মনে হয় মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই। সহ্য ক্ষমতা অসীম বলে আজও বেঁচে আছি।
বেঁচে থাকবো কতদিন জানিনা। তবে জীবনের শেষদিনটি পর্যন্ত ঘৃনা করতে চাই তোমাকে। আর ভালোবাসা……..
By sahinuralam welcome..R
তোমাকে আজ নতুন নাম দিলাম। আসলে এ নামকে ঠিক নতুন বলা যায়না, বহুদিন যাবৎই এই নামটা মনের মধ্যে ঘুরঘুর করছিলো। আজ শুধু কাগজে কলমে লিখলাম। তুমি আমার অতি কাছে থেকেও চিরজীবন বহু দূরেরই রয়ে গেলে আর তাই তোমায় এ নামে ডাকাটাই সবচেয়ে সঠিক বলে মনে হচ্ছে।
তোমার মত গুছিয়ে আমি লিখতে পারিনা আর তাই লেখা অনেক এলোমেলো হবে সেও জানি তবুও তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো বলেই এই চেষ্টা। তোমাকে অনেক বাজে কথা আমি বলেছি। কেনো বলেছি তা এ মুহুর্তে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যাখা করা সম্ভব না আমার পক্ষে। আসলে সেসব সময়ে বলার পরিবেশ তৈরী হয়েছিলো একেকসময় একেক রকম করে। তোমাকে যত দুঃখ দেবার মত কথা আমি বলেছি সেসব কিছুর জন্য আবারও আমি ক্ষমা চাইছি।
তোমার দূর্ব্যাবহারগুলোতে আমি দুঃখ পেলেও সেসব আমার মনে চিরস্থায়ী নয়। তুমি সেই প্রথম দিনটি হতে যেমন ভালোলাগার ও ভালোবাসার ছিলে আমার হৃদয়ে ঠিক তেমনটিই থেকে যাবে। হয়তো আমার এ কথাটা তোমার আজ একেবারেই বিশ্বাস হয়না।
তুমি আমাকে শিখিয়েছিলে স্বপ্ন দেখতে। তুমি শিখিয়েছিলে ভালোবাসা কারে কয়।একটা কথা আজ বলতেই হয়, আমার জীবন সম্পূর্ণ করেছো তুমি। আমি তোমাকে দুঃখ দিতে না চাইলেও , দিয়েছি। এর জন্য আমার অনুতপ্ততার সীমা নেই। আমি খুব সাধারণ তাই হয়তো পারিনি উদার হতে।
তোমার মত এত মেধাবী একজন মানুষ পৃথিবীতে খুব কম জন্মায়। তোমার মেধা আমার অহংকার কিন্তু তোমার এই মেধার পিছের কিছু কিছু কারণ, কিছু আচরণ আমি সইতে পারিনি। সইতে পারিনি ঠিক তেমনি ভাবে যেমনিভাবে তোমায় যারা ঈর্ষা করে। তোমার সাফল্য তোমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষা হয় আমার । আসলে তোমায় আমি এত উঁচু আসলে বসিয়েছি যে তুমি আমার কাছে অসাধারণ একজন দেবীর পর্যায়ে চলে গেছো। এসব করেছি কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি কম বুঝি। খুব কম বুদ্ধি নিয়েই মাঝে মাঝে তোমার সাথে যাচ্ছেতাই ব্যাবহার করে ফেলেছি। মাপ করে দিও। তোমার অগনিত ভক্ত ভালোবাসার মাঝে খুঁজে নেবে নিশ্চয় তোমায়।
অনেক অনেকবার ভেবেছি। তোমার থেকে দূরে চলে যাবো। বহু দূরে। কিন্তু পারিনি। তোমায় ঘিরে থাকা অগনিত মানুষের একজন হয়ে থাকতে চাইনি আমি। আমি চেয়েছিলাম তোমার পাশে আমার জন্য এক টুকরো বিশেষ স্থান। তোমার সাথে এত দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি, এত কথপোকথন আমার এই জীবনে আর কারো সাথে হয়নি আর হবেও কিনা সন্দেহ আছে।
এখন অবশ্য তেমন একসাথে থাকা হয়না। এত দূর্যোগ এত বাঁধা বিপত্তির পথ পাড়ি দিয়েছি তোমার সাথে। তোমার সাফল্য কিন্তু আমার বড় আনন্দের। তবুও সেসব সহ্য হয়না আমার।
রোজ ভোরে ঘুম ভেঙ্গে উঠে ভেবেছি আবার সব ঠিক হয়ে যাবে।ঠিক আগের মত । মাঝের সব ক্লেদাক্ততাকে ভুলে গিয়ে আমরা শুরু করতে পারবো আবার। কিন্তু যা তাই থেকে গেছে। মনে হয়েছে নিজেকে খুব বেশি ছোট করে ফেলেছি তোমার কাছে। তোমার সাথে একটা দূরত্ব থাকা উচিৎ আমার । ভালোবাসি বলেই তোমার ব্যাক্তিগত সকল কাজেই আমার হস্তক্ষেপ থাকবে সেটা ঠিক নয়। কিন্তু তোমার ঔদ্ধত আচরণ আমাকে কষ্ট দিয়েছে । আমাকে ছোট করে দিয়েছে বার বার । ভালোবেসে মানুষ কত ত্যাগ স্বীকার করে, আমি পারিনি তোমাকে পাবার লোভ সামলাতে।
তোমাকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিলো আমার। সমুদ্রের বেলাভূমিতে পাশাপাশি হাত ধরে বসে সূর্যাস্ত দেখবো আমরা। বাতাসে উড়বে তোমার চুল । আমার মুখে ঝাপটা লাগবে। অনন্তকাল থেমে যাবে সেসময়। এমন দিন কখনও আসবেনা , এমন স্বপ্ন কখনও পূরণ হবেনা। তবুও তোমার জন্য বুকের মাঝে অদ্ভুতভাবে জমে আছে এক লুকানো কষ্ট আমার। তোমাকে আমার বড় দুঃখী মনে হয়। তোমার কখনও জানা হবেনা তোমার জন্য আমার কতখানি কষ্ট হচ্ছে। তোমার উপর প্রচন্ড অভিমান হচ্ছে আমার । তবুও তোমাকে ভালোবাসি।
আমার জীবনে সবচাইতে আনন্দের কারণ তুমি, সবচাইতে কষ্টের কারণও তুমি। তোমাকে কষ্ট দিতে মন চায়না, তবুও অনেক কষ্ট দিয়েছি আমি। তোমাকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা। তুমি একদিন অনেক বড় হবে, অনেক মানুষের মধ্যমনি। হয়তো আমাকে ভুলেই যাবে তুমি। কিন্তু চিরজীবন তুমি থাকবে আমার হৃদয়ের মনিকোঠায়।
আজ আমার মনটা খুব খারাপ। তোমাকে ভালোবাসার কষ্টে, তোমাকে না পাবার কষ্টে কোনো কোনো দিন আমার এমনি কাটে।তোমাকে খুব বেশি ভালোবাসি বলেই এমনটা হয় আমার।কিন্তু আমার এমন অস্থিরতার সময়ে আমার ব্যাবহারের প্রকাশে তুমি বেশি ভুল বোঝো আমায়। আসলে ভালোবাসার পাশাপাশি তোমার প্রতি আমার লোভ , ঈর্ষা এসব এ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে সে আমি জানি।বুঝতে পারিও। তুমি খুব স্বার্থপর আর ভয়াবহ রকমের নিষ্ঠুর। তবুও তুমি এমন জেনেও আমি তোমাকেই ভালোবাসি।
তুমি অনেক অপ্রিয় সত্য বলেছো আমাকে। অনেক স্বার্থপর আর নিষ্ঠুর আচরণ করেছো যা আজীবন আমার সঙ্গী হয়ে থাকবে। মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি ঠিকই বলো আমি একজন মানষিক রোগী হয়ে পড়ছি দিনে দিনে।
আজ সকাল থেকেই মন খারাপ আমার। তোমাকে খুব দেখতে মন চাইছে। কিন্তু দেখা হতেই আবার খারাপ কিছু করে ফেলবো জানি। আসলে তোমার প্রতি আমার আবেগের বিপর্যয় ঘটেছে। হয়তো অভিমান করেই আমি আমার সব আবেগকে নিয়ন্ত্রন করেছি। তুমি খুব সরলভাবে আমাকে বড় বড় অপ্রিয় সত্য কথা শুনিয়েছো। তোমার মত সত্যবাদী প্রেমিকারা বড় নিষ্ঠুর।অনেক দিন ধরেই আসলে আমি তোমার কাঁধে এক বিরক্তির বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছি তা আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে তোমার কিছু নির্দোষ কাজকর্মই প্রমান করে দিয়েছে। আমাকে সব সময় বোঝা ভাবতে হবেনা তোমার, তুমি তোমার মত চলতে পারো। আমার প্রতি তোমার যে কোনো রকম দায় দায়িত্ব নেই সে অনেক আগেই বুঝেছি আর আজও সেটাই মনে করি আমি।
আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যার্থতা আমি তোমাকে বোঝাতে পারিনি তুমি আমার কাছে কি এবং কতখানি।ভালোবাসা প্রকাশে আমি সবসময় প্রেম আর আবেগে থাকতে পারিনা সেটাই আমার দোষ। আমার অক্ষমতা। সবাই এক রকম ভাবে জন্মায় না। আচ্ছা প্রেমিক হিসাবে আমি কি একেবারেই অযোগ্য?
তোমাকে আমার মিথ্যুক আর প্রতারক মনে হয়। তুমি দিনের পর দিন আমার সাথে মিথ্যাচার করেছো, প্রতারনা করেছো। এসব আমাকে ধীরে ধীরে শক্ত করে তুলেছে। নতুবা আমি তোমার প্রতি ছিলাম বড় দূর্বল। তুমি অনেকবার চেয়েছো তোমার জীবন থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে। পারোনি। কারণ আমি বড় ভালোবাসায় তোমাকে ধরে রেখেছিলাম বলেই।
তোমার উচ্ছাস। তোমার আনন্দ তোমাকে ঘিরে এত মানুষের আদিখ্যেতা দেখে কষ্ট হয় আমার। আমি খুব সাধারণ। ভালোবাসি তোমায় আমি। ভালোবাসা যে এমন মৃত্যুফাঁদ, তা আগে কখনও বুঝিনি।
তোমার ছেলেবেলা অনেক কষ্টে কেটেছে। তোমার মুখেই সেসব শুনে কষ্ট পেয়েছি আমি। তোমার ছেলেবেলা আমি দেখতে পাই চোখ বুজলেই একটি দুঃখী মেয়ে। ভীষন মায়া হয় আমার ।
তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে। প্রতিদিন মনে মনে বলি তোমাকে আমার খুব ভালো লাগে। খুব ভালো লাগে। আজকাল স্বপ্ন দেখি মরে যাচ্ছি। কষ্ট হয়না মোটেও। বরং মরে গেলেই সব প্রতারনা থেকে মুক্তি হ্ত আমার।
ভালোবাসোনি আবার দূরেও যাওনি। কেনো যাওনি সেটা জানি স্বার্থের জালে আটকে রেখেছিলে আমাকে।খানিকটা আকর্ষনও আছে তবে ভালোবাসোনি আমায় তুমি। যখন এটা বুঝলাম তখন আর ফিরে আসার পথ ছিলোনা আমার কারণ ততদিনে তোমাকে প্রচন্ডরকম ভালোবেসে ফেলেছি আমি। পেতে চেয়েছি তোমাকে। বুঝিনি এই ভুলের মাশুল কিভাবে দিতে হবে। তোমার এই স্বার্থপরতা , নিষ্ঠুরতা কিভাবে কষ্ট দেবে আমায়।
তুমি আমায় অনেক অবহেলা করেছো আর শুনিয়েছো এমন সব কঠিন কঠিন কথা যা কোনো প্রেমিকার মুখে মানায় না , নাটক সিনেমার কোনো খলনায়িকার মুখেই শোনা যায় সেসব কথা। একটা সময় আবেগ আর প্রেম নিয়ে তোমার হতে চেয়েছি। কিন্তু তোমার কাছে এসবের কোনো মূল্য ছিলোনা কখনও বরং সেসব কথা আর আবেগ নিয়ে তুমি অনেক ব্যাঙ্গ আর শ্লেষ করেছো। আমার প্রতি বিশস্ত থাকোনি তুমি, আমার বিপদেও কখনও পাশে ছিলেনা আমার। এসব নিয়েই ধীরে ধীরে অবিশ্বাস জন্মেছে আমার। আমি তোমার নির্দয় ব্যাবহার ভুলতে পারিনা তবে ভুলতে চাই।
তোমার সাথে শুধুই দূর্ব্যাবহার করে ফেলেছি। আমি অনুতপ্ত কিন্তু কোনোদিন এমন হবেনা আর এমন শপথও করতে পারিনা।যতদিন বেঁচে থাকবো তোমার সাথে এমনি করবো হয়তো প্রায়ই। তোমাকে খুব ভালোবাসি কিন্তু প্রচন্ড এক অভিমান আছে আমার।
তুমি অনেক কষ্ট পেেয়ছো এ জীবনে। তোমার কষ্ট আমি ভালোবাসায় ভুলিয়ে দিতে চাই। ভালোবাসি কিন্তু শান্তি দিতে পারছিনা এটাও আমার কাছে কম কষ্টের নয়। আমি কিছুতেই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাচ্ছিনা। আমি কেনো আমার জীবনে এ দূর্ভোগ ডেকে আনলাম?
তোমায় দেখলে অনেক কষ্ট লাগে মায়া হয়। এই তুমি আমাকে এত কষ্ট দিয়েছো ভাবলে খারাপ লাগে। আমি জানি আমার কোন আচরণ তোমার অপছন্দের, কোন কথায় তুমি কষ্ট পাও সব জেনেও আমার তোমার মত হয়ে ওঠা হয়না।আসলে আমি চাইনাও তোমার মত হয়ে উঠতে। তোমাকে আমি জানি দুঃখী,রোমান্টিক নরম মনের মানুষ হিসাবে আর তাই কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা তোমার কাছ থেকে পাওয়া কষ্টগুলোকে।আমার অনেক কিছুই তোমার অপছন্দের আমার চাল চলন কথা বার্তা। কিছুই পছন্দ করোনা তুমি। আমি ভেবেই পাইনা এত অপছন্দের মানুষটার সাথে কিভাবে তোমার সম্পর্ক হলো? এটা একটা ভাববার বিষয়।
তুমি প্রায়ই আমার চরিত্রের ত্রুটিগুলি ধরিয়ে দাও, আমার রুচির তালিম দাও। আমি মনে হয় এতটা অরুচিকর বা অসচেতন নই যে তোমার থেকে আমার তালিম নিতে হবে। আমার যথেষ্ঠ বয়স হয়েছে এবং এ সম্পর্কে আমি যথেষ্ঠ সচেতন। আসলে তোমার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য আমার চরিত্রের বিভিন্ন ত্রুটি বিচার বিশ্লেষন করে তা ধরিয়ে দিয়ে আনন্দ পাওয়া। আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা তোমার সাথে জড়িয়ে পড়া।
তোমার ওপর সেই শুরু থেকে আমার একটা মায়া জন্মে গেছে। তোমায় দেখে মনে হয়েছে আমার তোমার অহংকার এ উদ্ধত আচরণ সবই ছদ্নবেশ। এসবের আড়ালে তুমি এক অদ্ভুত আশ্চর্য্য মায়াবী আর দুঃখী মানুষ। আমি তোমার জীবনে এক বাড়তি উৎপাত। আমার জন্য আর কোনো সময় নষ্ট করতে হবেনা তোমার।আমি মিথ্যা আর ভন্ডামীকে ঘৃনা করি।প্রত্যকের জীবন তার কাছে। সুখে থাকার বা সুখী হবার অধিকার তোমার আছে। তুমি আমার জন্য অনেক করেছো।আমার কাছে তোমার কোনো ঋণ নেই। সারাটা জীবন আমার সাথে জড়িয়ে থাকতে হবেনা।
তোমায় পেয়ে আমি বুঝেছিলাম এ পৃথিবীতে সৃ্ষ্টিকর্তার সবচেয়ে সুন্দর দান ভালোবাসা। এত যে ভালোবাসি তোমার তবুও এক অপার শূন্যতা। আমি ভাবি আমার থেকে তুমি কোনো দুঃখ পেতে পারোনা। তবুও দুঃখ দেই।তোমার জন্য আমার অনেক মায়া। তোমায় আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি। অভিযোগ করেছি। এসব কথা তুমি মনে রাখবেনা। মনে রাখবেনা আমার দূর্ব্যাবহারের কথা। কারন আমার দূর্ব্যাবহারের চেয়ে লক্ষ্য গুন ভালোবাসি তোমায়। আমার অন্তর জানে তুমি কে, তুমি কেমন।তোমার মাঝে মুগ্ধ করবার মত এত গুণ আছে বলেই আমি তোমায় এত ভালোবাসি। যে তোমাকে জানবে সে তোমাতে মুগ্ধ হবেই। না ভালোবেসে পারবেনা।আমার ব্যাকুলতা কখনও তুমি প্রাণ ভরে অনুভব করোনা।
কতদিন কথা হয়না তোমার সাথে মুখোমুখি বসে। তুমি আমার সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন রাখো। আমি জানি হয়তো ব্যাস্ততায় অথবা আমাকে দূরে রাখতে। সেসময়গুলোতে আমি খুব ভয়ে থাকি। বিরক্ত করতে চাইনা আমি তোমাকে। তুমি সরাসরি সব যোগাযোগ বন্ধ করে দাও।এখন আর আমি আগের মত মরতে চাইনা। কিন্তু একদিন চেয়েছিলাম। তুমি আমার সাথে দীর্ঘদিন যোগাযোগ রাখোনি। আমি বেঁচে থাকবো অথচ তোমায় দেখবোনা এ কষ্ট আমি সইতে পারিনা।তাই মরে যেতে ইচ্ছা করে । একথা তোমাকে জানিয়েছিলামও কিন্তু পরে বুঝলাম সেকথা তুমি মন দিয়ে শোনোনি।একজন মানুষ তোমার জন্য মরে যেতে চায় সেই কথাটাও তোমার কাছে এতটা গুরুত্বহীন আমি ভাবতেই পারিনা।
এখন আমি আর আগের মত নেই। সহ্য করার ক্ষমতা হয়েছে আমার। যে ভালোবাসে বেশি কিন্তু প্রকাশ করে কম সেই প্রকৃত জ্ঞানী। কদিন ধরে জ্ঞানী হবার চেষ্টা করছি।
মানুষের চাহিদার অন্ত নেই তাই বলে সব চাহিদা পূরণ হবে এমন কথাও নেই।আমার সব চাহিদা পূরণ না হলে ক্ষতি নেই।শুধু একটিই চাওয়া। তোমাকে পাবার। আমি সারাটি জীবন কেবল তোমাকেই চাইবো। তোমায় না পেলে এ জীবন অর্থহীন।
তুমি খুব স্বার্থপর আর নিষ্ঠুর।তবুও তোমার সঙ্গ আমার জীবনের অন্যতম সম্পদ।যদিও অনেক অপমান আর নিষ্ঠুরতা জড়িয়ে আছে সেসব মুহুর্তগুলির সাথে।আমি শাররিক ও মানষিক দিক থেকে এতটাই ভেঙ্গে পড়েছি যে নিজের দিকে তাকাতে পারিনা। মনে হয় কঠিন কোনো অসুখ হয়েছে আমার । কোনোদিনই সুস্থ হবোনা। মৃত্যুই আমার একমাত্র পথ। তোমার বিরুদ্ধে আমার অজস্র অভিযোগ তবুও তোমাকে ভালোবাসি।আমার নিজের ওপর ভারী ঘেন্না হয় আমি একজন নির্বোধ ও বেহায়া বলে।
কত তুচ্ছ কত ছোট্ট ইচ্ছে রয়েছে আমার তোমার হাত ধরে হেঁটে যাবো সাগরের তীর ঘেষে, ছাদে বসে তারা দেখবো। অথচ কোনোদিন সেসব পূরণ হবেনা আমার।
খুব ইচ্ছে করে তোমার হাত ধরে মায়ের কাছে গিয়ে বলি, আপনার গর্ভের শ্রেষ্ঠ সন্তান, এই দুঃখী আর অভিমানিনী মেয়েটিকে কেনো এত কম ভালোবেসেছেন? মাকে নিয়ে তোমার বুকের মাঝে একটি কষ্ট লুকানো আছে বুঝতে পাই। তাই আমার জানতে ইচ্ছে করে মা কেনো তোমায় এত অনাদরে রেখেছিলেন আর এখনও বা কেনো এত দূরে রেখেছেন? তোমার মত সন্তানকে কোনো মা ভালো না বেসে পারেন? আমার মনে হয়না যে তিনি বাসেন না তবুও কোথায় যেন একটা দূরত্ব হয়ে গেছে।
আমার মনের পর্দায় ভেসে ওঠে একটা মুখ । দুঃখী এক কিশোরীর মুখ। যদিও সেই অভিজ্ঞতাটিই তার জীবনের অন্যতম সম্পদ হয়ে উঠেছে। তবুও ভারী কষ্ট হয়। তাই মায়ের কাছে গিয়ে জানতে ইচ্ছে করে কেনো এমনটি হয়েছিলো?
তুমি আমায় অনেক কষ্ট দিয়েছো তবুও কখনও মনে হয়না ইচ্ছে করে তোমাকে কষ্ট দেই। তোমার কথা মনে হলে আমি ভুলে যাই তুমি আমায় কষ্ট দিয়েছিলে।আমার কেবলি মনে হয় মা যেমন সকল কষ্ট ভুলে যায়, ভুলিয়ে দেয়, তুমিও ভুলে যাবে, ভুলিয়ে দেেবে আমার সকল কষ্ট।
তোমাকে নিয়ে অদ্ভুত এক ঘোরে কেটে যায় আমার দিন। মনে হয় অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে আমার তোমাকে পাবো বলেই। গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমার বুকটা হু হু করে ওঠে। হাত বাড়িয়ে দেই তোমাকে পাবো বলে। একটা দিনের জন্যও যদি তোমার পাশে থাকার সৌভাগ্য হত তবে সাজিয়ে দিতাম তোমার প্রতি মুহুর্তগুলিকে তোমার মনের মত করে।
আমার কাছে তুমি মিথ্যুক , স্বার্থপর, ভন্ড, অকৃতজ্ঞ, সুবিধাবাদী একজন মানুষ তুমি। যে অবিরাম বানিয়ে বানিয়ে লেখে আর তার চারপাশে মানুষের সাথে অবিরাম মিথ্যাচার করে। আমার জীবনের সবচেয়ে দূর্ভাগ্যজনক ঘটনা তোমার সাথে পরিচিত হওয়া। আর এ দূর্ভাগ্য ডেকে এনেছিলাম আমি নিজেই। আমার প্রতি যদি তোমার বিন্দুমাত্র ভালোবাসা থাকতো তবে তুমি আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করতে এই ভেবে যে হাজারও সুখে দুঃখে আমি জড়িয়ে আছি আজও তোমারই সাথে।
স্বার্থপর আর সুবিধাবাদী মানুষেরা বোঝা কিভাবে জীবন গুছিয়ে নিতে হয়। তাদের কোনো অপরাধবোধও থাকেনা। আমাকে তুমি ব্লাকমেইলও করতে পারো। সে গুণাবলীও তোমার মাঝে আছে। আশাকরি এটিও একদিন দেখতে হবে।
আমি জীবনের শেষ মূহুর্তটি পর্যন্ত তোমাকে ঘৃনা করতে চাই। গত কয়েক বছরে তুমি আমাকে অনেক বেশি অপমান করেছো যা আমার প্রাপ্য ছিলোনা। আমার ভালোবাসা তোমার পাওনা হতে পারেনা কিছুতেই। আমি যে ভুল করেছি তার জন্য মনে হয় মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই। সহ্য ক্ষমতা অসীম বলে আজও বেঁচে আছি।
বেঁচে থাকবো কতদিন জানিনা। তবে জীবনের শেষদিনটি পর্যন্ত ঘৃনা করতে চাই তোমাকে। আর ভালোবাসা……..
By sahinuralam welcome..R
Comments
Post a Comment